চাকরি এখন সোনার হরিণ। চাকরি পাওয়া অতো সহজ ব্যাপার না। আমরা কমবেশি সবাই জানি, বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার হয়ে উঠেছে চরম প্রতিযোগিতাশীল।

প্রতিষ্ঠান ছোট হোক বা বড় হোক, চাকরির নিয়োগ পদ্ধতি সবখানেই প্রতিনিয়তই বদলাচ্ছে। পছন্দের কাজ পাওয়া একটা কঠিন বিষয়। এটা আরও কঠিন যখন আপনি জানেন না নিয়োগদাতারা আসলে কেমন লোক খুঁজছে।

যে কোনো চাকরির জন্য মুখোমুখি ইন্টারভিউ একটি বড় বিষয়। বড় বড় কোম্পানির নিয়োগকর্তারা মনে করেন, যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে কারো চাকরি পাবার সম্ভাবনা অনেকখানি নির্ভর করে ইন্টারভিউতে তিনি কতটা ভালো করেন তার ওপর। কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করা যাবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

সিভিতে চাকরিপ্রার্থীর যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা থাকে। ইন্টারভিউয়ের সময় সংস্থার পক্ষ থেকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন, চাকরি প্রার্থীদের কাছে বিশেষ কিছুই বলার থাকে না। যদি নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিভিতে উল্লেখ করা কথাগুলোই ফের জানান, তবে মনে রাখবেন সেখানেই প্রথম ভুল করেছেন।

আপনার চাকরি জীবনের শুরু থেকে আগের কর্মস্থলগুলোতে কী কী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, সেই সম্পর্কে জানান। এমন কিছু যা সিভিতে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে এ কথাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনার হাতে অঢেল সময় নেই, তাই কম সময়ের মধ্যে কীভাবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখুন।

যে পদে আবেদন করছেন এবং সেই পদে কাজের জন্য সংস্থা আপনার কাছ থেকে কী কী গুণাগুণ আশা করা হচ্ছে, তা বুঝতে শিখুন। ইন্টারভিউতে আপনাকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে। তাই আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পূর্ব থেকেই খানিকটা ধারণা অর্জন করে নিবেন।

শুধুমাত্র আমাদের মুখই নয়, শরীরও অনেক কথা বলে। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনি কীভাবে বসছেন, কীভাবে কথা বলছেন, আপনার হাত, মুখের ভাবভঙ্গি, চোখের নড়াচড়াও আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানায়। যদি আপনি ভয় পেয়ে থাকেন বা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকেন, তা আপনার শরীরী ভাষায় ফুটে উঠতে বাধ্য।

আপনার যদি বিশেষ কোনো সাফল্য থাকে বা এমন কোনো গল্প থাকে, যা আপনাকে বাকি পাঁচজনের থেকে আলাদা করে তোলে, তবে তা অবশ্যই জানান। এতে আপনি মনে বিশেষ দাগ কাটতে পারবেন।

চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো ফলাফল করতে হলে ভরসা রাখতে হবে নিজের প্রতি। অনেকেই চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এতে করে কাঙ্খিত ফলাফল আপনি কখনোই পাবেন না। তাই নিজের উপর ভরসা রাখতে হবে আপনাকে।

আপনার যোগ্যতাকে আপনার নিজের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। এতে আপনার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পোষণ হবে।

আপনি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হতে হলে তা স্কিপ করে যাবেন। তবে ভুল উত্তর প্রদান করা থেকে বিরত থাকবেন।